চোখের দেখা প্রাণের কথা: গাজী রাকায়েত
প্রচার তারিখ: ৩১ মার্চ ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, প্রচার সময়: সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট।
“চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে উপস্থিত থাকেন আপন আলোয় উদ্ভাসিত একজন ব্যক্তিত্ব। যিনি শুনিয়ে থাকেন তার জীবন অভিজ্ঞতার গল্প। অনুষ্ঠানে অতিথির পছন্দের সাতটি গান প্রচারিত হয়। “চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের আজকের পর্বের অতিথি নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব গাজী রাকায়েত।

গাজী রাকায়েতের জন্ম ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই জুন ঢাকায়। পিতা আব্দুল আউয়াল গাজী এবং মাতা বিলকিস বেগম। নাটক অভিনয় দিয়ে তার কর্ম জীবন শুরু হলেও পরে তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র “নদীর নাম মধুমতি”। পরবর্তীতে তিনি খেলাঘর, আহা, চন্দ্রগ্রহণ, দ্যা লাস্ট ঠাকুর, প্রিয়তমেষু, আমার বন্ধু রাশেদ, ও জোনাকীর আলো –এসব চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। গাজী রাকায়েত ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে “মৃত্তিকা মায়া” চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি “মৃত্তিকা মায়া” চলচ্চিত্রের জন্য এককভাবে পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং চলচ্চিত্রটি মোট ১৭টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। অভিনয় জীবনের তিন দশক পার করছেন তিনি। গাজী রাকায়েত নিজের কর্ম ও জীবন সম্পর্কে আত্ম মূল্যায়ন করে বলেন, “আমি অসাধারণ কেউ নই। আমি ঘষে মেজে সংগ্রাম করে এই পর্যন্ত এসেছি।”
গাজী রাকায়েত অবসরে বই পড়তে পছন্দ করেন। বই পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে গাজী রাকায়েত বলেন, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবার অন্যতম কারণ হলো, মানুষের বই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, বই মানুষের ইমাজিনেশন শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। যে মানুষের কল্পনা শক্তি কম, সে কিভাবে পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠবে? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ যদি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী পড়ে, তাহলে সে হয়তোবা এক কোটি গ্রামের কথা চিন্তা করবে। আর সত্যজিৎ রায়ের পথের প্যাঁচালী চলচ্চিত্র দেখলে সে পরিচালকের দৃষ্টিতে দেখা একটি গ্রামের কথাই চিন্তা করবে। এটিই হচ্ছে একটি বই এবং একটি চলচ্চিত্রের পার্থক্য। তিনি সকলকে বই পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন। নিজের পছন্দের বই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি রবীন্দ্রনাথ রচিত ছোট গল্পের সংকলন গল্পগুচ্ছ বইয়ের কথা বলেন এবং শ্রোতাদের বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে গাজী রাকায়েত বলেন, “ড্রাইভাররা যখন রাতের বেলা গাড়ী চালাবেন, তখন তাদের পূর্ণ ঘুম ঠিক মত হয়েছে কিনা এটি নিশ্চিত করা খুবই প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, রাতের বেলা গাড়ী চালানোর সময় যে লাইট আমাদের চোখের উপর এসে পড়ে, সে বিষয়ে কাজ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে রাতের বেলা হাই ওয়েতে পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে হবে, সচেতন হতে হবে।”
প্রিয় শ্রোতা, “চোখের দেখা প্রাণের কথা: গাজী রাকায়েত” পর্বটি শুনতে নীচের প্লে বাটনে ক্লিক করুন।
Podcast: Play in new window | Download