পদ্মা সেতুর গল্প
একটি সেতু। কোটি মানুষের স্বপ্ন। শত চ্যালেঞ্জের গল্প। এই গল্প আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর গল্প। ছয় দশমিক এক-পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটির এক পাড়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া এবং অপর পাড়ে শরীয়তপুরের জাজিরা।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলাকে রাজধানীর ঢাকার সাথে কাঙ্খিত সড়কপথে সরাসরি যুক্ত করেছে। তবে, এই যোগাযোগ স্থাপনের কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। ১৯৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে এ পদ্মা সেতুর প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। এরপর ২০০৩ থেকে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হলেও সেতু নির্মাণে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে সেতু বাস্তবায়নের কাজে হাত দেয়। প্রকল্প শুরু হয় ২০০৯ এর জানুয়ারিতে। বিস্তারিত নকশা ও প্রকিউরমেন্টের কাজ চলে ২০০৯ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এরপর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেয় অর্থ সংস্থান।
অর্থের যোগান দিতে এগিয়ে আসে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকাসহ কয়েকটি আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে আবার পিছিয়েও যায়। পরবর্তীতে, যদিও কানাডার আদালতে এই দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এদিকে, বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ায় অনেকেই যখন ভাবছে পদ্মা সেতু আর আলোর মুখ দেখবে না; তখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করলেন: নিজেদের টাকাতেই হবে পদ্মা সেতু।
আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ আমাদের আত্মনির্ভরতার প্রতীক। কিন্তু এই কাজটির সফল বাস্তবায়নে ছিল হাজারো কঠিন বাধা। এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এবং অপরকে জানাতে দেখতে করতে পারেন আমাদের এই ভিডিয়োটি।
——————————
জনস্বার্থে: ট্রাফিক টিম । বাংলাদেশ বেতার । আগারগাঁও । ঢাকা-১২০৭।
২৪শে জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ