বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে বিশেষ পডকাস্ট।
রেনু থেকে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে হয়ে উঠলেন বাংলার মা, বঙ্গমাতা। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ই আগস্ট তারিখ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন এই মহিয়সী নারী।
বাবা শেখ জহুরুল হক ও মা হোসনেয়ারা বেগমের দুই মেয়ের মধ্যে ছোট রেনু। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন, পাঁচ বছর বয়সে মা’কে, সাত বছর বয়সে হারান দাদাকে। একমাত্র পুত্র হারিয়ে দাদা শেখ আবুল কাশেম সব সম্পত্তি দুই বোনকে লিখে দিলেন, দুই বোনের বিয়ে দিলেন আত্মীয়ের ভিতর। রেনুর বিয়ে হ’ল খোকার সাথে। খোকা শেখ লুৎফর রহমান আর সায়েরা খাতুনের বড় ছেলে। ভালো নাম শেখ মুজিবুর রহমান।
শৈশব থেকেই মানুষের বিপদে-আপদে ছুটে যাওয়া খোকা সবার কাছে মুজিব, সকলের মুজিব। স্কুল জীবনেই প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা মুজিব কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়তে যাওয়ার পর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে শুরু করেছিলেন বৃটিশ খেদাও আন্দোলন, চেয়েছিলেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা। দিন-রাত মানুষের জন্য কাজ করছেন, বৃটিশদের কূটকৌশলে সৃষ্ট হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বাড়ি যাওয়ার ফুরসত মেলে না। ওদিকে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে রেনু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, একটি ছেলে হয়েছিল, বাঁচেনি। এরপরও স্বামীকে লেখা চিঠিতে রেনুর ভাষ্য ছিল এরকম- “আপনি শুধু আমার স্বামী হওয়ার জন্য জন্ম নেননি, দেশের কাজ করার জন্যও জন্ম নিয়েছেন। দেশের কাজই আপনার সবচাইতে বড় কাজ। আপনি নিশ্চিন্ত মনে সেই কাজে যান। আমার জন্য চিন্তা করবেন না। আল্লাহ্ উপর আমার ভার ছেড়ে দিন।”
প্রিয় পাঠক, বঙ্গমাতা সম্পর্কে এরকম আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে শুনতে পারেন এই পডকাস্টটি।
পডকাস্টটির গ্রন্থনায় ছিলেন নাসরিন মোস্তফা। কন্ঠ দিয়েছেন মাহমুদা আক্তার।
নির্মাণ নির্দেশনায় রওনক জাহান। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ আহসান হাবীব।
পডকাস্টটি প্রযোজনা করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ বেতার।
-জনস্বার্থে, ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম, এফএম ৮৮.৮ মেগাহার্টজ, বাংলাদেশ বেতার।