ট্রা.স.কা-ইভের গল্প
ট্রা.স.কা-ইভের গল্প
আহসান হাবীব
[লেখাটি সংক্ষেপিত আকারে বাংলাদেশ বেতারের পত্রিকা “বেতার বাংলা”-এর অক্টোবর-ডিসেম্বর/২০১৬ সংখ্যায় প্রকাশিত । / A short version of this article is published in the journal of Bangladesh Betar titled “Betar Bangla” Vol: October-December/2016]
আজ থেকে অনেক বছর আগে একটা সময় ছিল, যখন বিয়ের আসরে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল রেডিও। “বিষয়বস্তু” বলছি, কারণ সে আমলে রেডিও যন্ত্রের মালিকানা ছিল সামাজিক অবস্থান নিরূপনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। কণে পক্ষ বর পক্ষকে রেডিও সেট দেয়নি বলে মনের কষ্টে বোন কাঁদছে, এমন হর-হামেশা দৃশ্য থেকে এ দেশের হংলা গানে রেডিওর উপস্থিতি টের পান সঙ্গীত গবেষকগণ। এরপর আসে ১৯৭১। হঠ্যাৎ করে এ অঞ্চলের মানুষ উপলব্ধি করেন, মনুষ্য কন্ঠের অমিত শক্তি। চোখে দেখার কিছু নেই, লিখিত কিছু নেই, শুধু মাত্র শুনেই এর প্রসার। তাও আবার, যতক্ষন কম্পাংক আছে ততক্ষণ। রেডিওর অনুষ্ঠান রিউইন্ড কিংবা ফরোয়ার্ড করা যায় না। পত্রিকার মতো ইচ্ছে হলেই পরের খবরটি পড়া যায় না, ছোঁয়া যায় না, ধরাও যায় না। কেবল শোনার সুযোগ আছে। শোনা যায় কন্ঠের মাধুর্য । মানুষের কন্ঠই রেডিওর মূল শক্তি। কি আশ্চর্য্য! শুধু মাত্র কন্ঠের উপর ভিত্তি করেই এদেশের মুক্তির সংগ্রামে রেডিও পালন করে দ্বিতীয় ফ্রন্টের ভূমিকা।
এরপর অনেক দিন পার হয়েছে। ২০০৫ সালে এসে এদেশে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠিত হলো এফ এম রেডিও। উদ্যোগটি বাংলাদেশ বেতারের। ২৬ মে শুরু হলো ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম-এর পথচলা। উদ্বোধনী ঘোষণা পাঠ করলেন এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। শুরু করলেন “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” শব্দমালা দিয়ে । উপস্থাপন ভঙ্গির বৈচিত্র্য এবং ক্রিস্টাল ক্লিয়ার সাউন্ড-এর কারণে এদেশে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এফ এম রেডিওর জনপ্রিয়তা। আজকে আমাদের দেশে অসংখ্য বেসরকারী এফ এম রেডিও। বোধকরি, সমাজে বেতার মাধ্যমের নিহিত চাহিদার কারনেই এগুলো টিকে আছে। গণমানুষের আচরণগত পরিবর্তন আনয়নে দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে বিশ্বব্যাপী আজও রেডিও সমাদৃত। এ প্রসঙ্গে, মিডিয়া কর্মী মার্ক রামসে বলেন, “শ্রোতার মননজগতে অনুভূতি সৃষ্টির সক্ষমতার মাঝে অডিও উপকরণের যোগ্যতা নিহিত। একটি অডিও উপকরণ শুনে উদ্দিষ্ট শ্রোতার মননে কোনও অনুভূতি সৃষ্টি না হলে এটি অডিও নয় বরং নয়েজ হিসেবে বিবেচ্য”। রামসের এই কথাটিকে যদি সত্য ধরে নিই, তাহলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, মানুষের আচরণগত পরিবর্তনে ও গণউন্নয়নে বেতার মাধ্যমের সম্ভাবনা বিশাল। বাংলাদেশের মিডিয়া গবেষকগণ এই বিষয়ে এক মত হবেন বলেই ধারণা পোষণ করছি।
বাংলাদেশ বেতারের ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রমে কাজ করতে গিয়ে নয়েজ বিবর্জিত শ্রোতার মননজগতে অনুভূতি সৃষ্টিতে সক্ষম অনুষ্ঠান নির্মানে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে সচেষ্ঠ আছি। আমাদের প্রচার স্থিতি দৈনিক ১০ ঘন্টা। সকালে ৫ ঘন্টা এবং বিকেলে ৫ ঘন্টা। আমাদের প্রচার উপকরণের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে সমসাময়িক আধুনিক জনপ্রিয় গান। আমাদের সঙ্গীত সংকলক থেকে শুরু করে প্রযোজনা সহকারী, সহকারী পরিচালক থেকে দপ্তর প্রধান আমরা সবাই মিলে চাচ্ছিলাম এমন একটি সিস্টেম চালু করতে, যেখানে আমরা সার্বক্ষনিক শ্রোতার মননে অনুভূতির যোগান দিতে পারি। এমন একটি সিস্টেম যেখানে একজন শ্রোতা কোনও গানের অনুরোধ জানালে আমরা প্রচারমান গানের পরেই চাহিত গানটি প্রচার করতে পারি। আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্ঠা করেছি, বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলেছি, প্রাযুক্তিক পেশাদারী লোকজনের সাথে দেখা করেছি। এ সব কিছু করার পর, আমাদের উপলব্দি, কাজটি সফলভাবে করার জন্য যে পরিমান আর্থিক সংশ্লেষ প্রয়োজন তার সামর্থ্য এই মুহুর্তে আমাদের নেই। কিছুটা হতাশা এবং কিছুটা বিব্রতবোধ আমাদের সকলকেই ঘিরে ধরল।

চিত্র-১: ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজের হোম পেজ
আমাদের সকলেরই ভাবনা, আর কিছু না হলেও, নিদেনপক্ষে আমাদের প্রচারেয় গানগুলোকে কম্পিউটারে শৃঙ্খলভাবে সাঁজিয়ে রাখা প্রয়োজন। কোন গানটি কোথায় আছে? কিভাবে সহজেই গানগুলোকে কন্টেন্ট ভিত্তিতে খুজে বের করা যায়? প্রশ্নগুলোর পেশাদারী উত্তর বের করার জন্যে, আমরা সকলে মিলে, একের পর এক সভা করি। সভার লব্ধ সিদ্ধান্তের আলোকে, আমরা আবার নিজেরা ঘরে বসে, এগুলোকে টেস্ট করি, রি-টেস্ট করি। আমরা যখন শত ভাগ নিশ্চিত হয়েছি, আমরা পরবর্তী ধাপে গিয়েছি। এভাবে সভার পর সভা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে এবং সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসের সম্মিলিত ফসল আমাদের আজকের “ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম আর্কাইভ” সংক্ষেপে “ট্রা.স.কা-ইভ”। আমরা সৌভাগ্যবান, আমাদের সাথে ছিলেন শুভময় চন্দের মত চৌকষ কর্মকর্তা, যিনি রাতের পর রাত জেগে মাইক্রসফট একসেস সফটওয়্যার ব্যবহার করে ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজের বিভিন্ন প্যারামিটারগুলো টেস্ট করেছেন। ডাটাবেইজে আমরা ৯টি টেবিলে প্রতিটি গানের সকল তথ্য লিপিবদ্ধ করেছি। গানের শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, গানের জেনরা, গানের বিষয়, গানের প্রথম লাইন, গানের শিরোনাম -এই বিষয়গুলো ছাড়াও, এলবামের ক্ষেত্রে এলবামের নাম, ব্যান্ডের ক্ষেত্রে ব্যান্ডের নাম, সিনেমার গানের ক্ষেত্রে সিনেমার নাম, প্রকাশকাল, গানের শিল্পী একক অথবা দ্বৈত, গানের স্থিতি এবং সর্বশেষ গানের রেটিং -এ বিষয়গুলোও আমরা নয়টি টেবিলে ইনপুট আকারে দিয়েছি। সবগুলো টেবিল আবার ইন্টারলিংকড। ফলে ডাটাবেইজের ডাটাএন্ট্রি অপসনে একটি মাত্র ফরমে গানের সকল তথ্য ইনপুট দিলেই লিংকড টেবিলগুলো পূরণ হয়ে যায়। এরপর অসংখ্য তথ্যের মাঝ থেকে প্রয়োজনের তথ্যগুলো খুজেঁ বের করবার জন্য আমরা কিছু কোয়্যেরি ডেভেলপ করেছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ডেটাবেইজে কত গান আছে? কি ধরণের গান আছে? কোন প্রকারের কত গান আছে? এমন অসংখ্য প্রশ্নের ক্ষেত্রে খুব সহজেই সকল গানের প্রতিবেদন প্রিন্ট করে হার্ড কপি সহ লিখিত উত্তর দিতে পারছি। এই সিস্টেমের ফলে এখন আমরা বলে দিতে পারি, আমাদের কাছে কতটি রবীন্দ্র সঙ্গীতের গান আছে। কোন কোন বাংলা সিনেমার গান আমাদের আর্কাইভে আছে। গত ছয় মাসে আমরা কতটি এলবাম বাজার থেকে সংগ্রহ করেছি। চাইলে এ সব নিয়ে আমরা বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠানও প্রযোজনা করতে পারি। ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেম থেকে এগুলো আমাদের অসাধারণ অর্জণ।
যাই হোক, এবার সিস্টেমটির ব্যবহারিক প্রসঙ্গে আসি। ট্রা.স.কা-ইভ তৈরি করা হয়েছে মূলত, লাইভ স্টুডিওতে আমাদের উপস্থাপকবৃন্দের উপস্থিতির বিষয়টিকে মাথায় রেখে। “তিন মিনিট সময়ের মধ্যে শ্রোতার অনুরোধের গান প্রচার”-এটিই আমাদের উদ্দেশ্য। পুরো সিস্টেমের তিনটি অংশ। প্রথমত, “ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজ”, এরপর “ট্রা.স.কা-ইভ স্টোর” এবং সবশেষ “সার্চ ইঞ্জিন”। “ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজ” হচ্ছে গানের একটি ডাটাবেইজ মাত্র, “ট্রা.স.কা-ইভ স্টোর” হচ্ছে গানের স্টোরেজ এরিয়া। এখানে সকল গান সারি সারি আকারে গানের আইডি অনুসারে বাংলা ইউনিকোডে সাজানো আছে। ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজ এবং ট্রা.স.কা-ইভ স্টোর এই দুইয়ের মাঝে ব্রীজ রচনা করে ট্রা.স.কা-ইভ “সার্চ ইঞ্জিন”। যে কোনও গানের আইডি জানতে আমরা ডাটাবেইজটি ব্যবহার করব এবং প্রাপ্ত আইডি দিয়ে স্টোর থেকে গানটি খুঁজে বের করতে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করব। ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমের প্রথম দুটি অপসন অর্থ্যাৎ ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজ এবং ট্রা.স.কা-ইভ স্টোর ব্যবহার করবেন লাইভ স্টুডিওতে কর্তব্যরত আমাদের উপস্থাপকবৃন্দ। শেষের দুটি অপসন অর্থ্যাৎ ট্রা.স.কা-ইভ স্টোর এবং সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করবেন কর্তব্যরত বুথ অপরেটরগণ। সুতরাং ট্রাসকাইভ সিস্টেমের পুরো কার্যক্রম তখনই সফল হবে, যখন কর্তব্যরত উপস্থাপকবৃন্দ এবং বুথ অপরেটর এক সাথে টিম-ওয়ার্ক করতে পারবেন। আরেকটু ভেঙে বলি। ধরুন, আজ ১৫ জুন। বরাবরের মত আজকেও স্টুডিওতে প্রচারেয় গানের একটি তালিকা দেয়া আছে। সকাল সাতটা বাজে উপস্থাপক দেখলেন চার্টে বর্ষার কোনও গান নেই, অথচ আজ বাংলা পুঞ্জিকা অনুযায়ী ১লা আষাঢ়, বর্ষা রিতুর প্রথম দিন। কাজেই, বর্ষার গান না থাকলে কি হয়? স্টুডিওতে ব্রডকাস্টিং কম্পিউটারে গানের রিজার্ভেও বর্ষার কোনও গান নেই। ডিউটি অফিসারের মাথা উত্তপ্ত, এখন কি করবেন? এদিকে হঠ্যাৎ, ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মিস্টার ট্রা.স.কা-ইভ বলবে, “মাথা গরম করার বা উদ্বিগ্ন হবার কোনও প্রয়োজন নেই। আসুন মিস্টার উপস্থাপক, আপনাকে বর্ষার গান বের করে দিচ্ছি”। বাইরে ঝুম বৃষ্টি, উপস্থাপক বর্ষার গান বাজালেন, শ্রোতার মণণে অনুভূতির সৃষ্টি হলো (আমরা ধরে নিচ্ছি) এবং বিনিময়ে আমাদের শ্রোতার সংখ্যা বাড়তে লাগল!
কি! পুরো বোঝা গেল না? আচ্ছা, আরেকটু ভেঙে বলি। ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমে বর্তমানে ২০০০ গান দেয়া আছে। এটি আমাদের লাইভ স্টুডিওর কম্পিউটারে ইন্সটল করা আছে। উপস্থাপক যখন কম্পিউটারের স্ক্রিনে “ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজ আইকনে” ডাবল ক্লিক করে ডাটাবেইজটি চালু করবেন, সঙ্গে সঙ্গে মনিটরে একটি হোম পেজ চালু হবে। ব্যবহারকারী হোম পেজে ছয়টি অপসন পাবেন। “নতুন গান সংযোজন”, “খোঁজ গানের প্রকার”, “খোঁজ শিল্পীর নাম”, “খোঁজ গানের কলি”, “খোঁজ গানের বিষয়” এবং সবশেষ অপসন “খোঁজ ব্যান্ডের নাম”। ডাটা বেইজটির নিরাপত্তার কথা ভেবে “নতুন গান সংযোজন” অপসনটি রাখা হয়েছে। এই অপসন দিয়ে সিস্টেমে নতুন গান সংযোজন করা হয়। তথ্যের নির্ভূলতা রক্ষার স্বার্থে এটি পাসওয়ার্ড প্রটেকটেড। ফলে কর্তৃপক্ষের সম্মতি ব্যতীত কোন ব্যবহারকারী ডাটাবেইজের তথ্যের কোনও পরিবর্তন বা পরিমার্জন করতে পারবেন না। হোম পেইজে এরপর রয়েছে “খোঁজ গানের প্রকার” অপসনটি। গানের প্রকার বলতে আমরা গানের জেনরা (এবহৎব)-কে নির্দেশ করছি। “দেশাত্মবোধক, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, আধুনিক, পঞ্চকবি, ব্যান্ড, ব্যক্তিত্ব, লোকসঙ্গীত, সিনেমা, ভক্তিমূলক, কবিতা, বিদেশী, যন্ত্র সংগীত” -এই ১৫টি বৃহত্তর প্রকারে আমাদের গানগুলোকে সিস্টেমে ইনপুট দিয়েছি। ব্যবহারকারী হোম পেজে “খোঁজ গানের প্রকার” অপসনটিতে ক্লিক করলেই একটি ড্রপ-ডাউন লিস্ট সম্বলিত পেজ ওপেন হবে। লিস্ট থেকে যে কোন একটি প্রকার যেমন: রবীন্দ্র সংগীত-এ মাউস পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করলেই সিস্টেমে রক্ষিত সকল রবীন্দ্র সংগীত জেনরাভূক্ত গানের তালিকা দেখা যাবে। এবার এখান থেকে উপস্থাপক যে গানটি প্রচার করতে চাইবেন, তার সং আইডি নোট করে বুথ অপারেটরকে জানাবেন। ব্যাস হয়ে গেল, উপস্থাপকের কাজ শেষ। এখন, বুথ অপারেটর কিভাবে গানটি প্রচার করবেন সে প্রসঙ্গে একটু পর আসছি। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ট্রা.স.কা-ইভ ডাটবেইজে গানের তালিকা থেকে গান নির্বাচনে উপস্থাপক গানের রেটিং, শিল্পী, গীতিকার এবং সুরকারের নাম দেখারও সুযোগ পাবেন। ডাটবেইজে সকল গান ৫ মাত্রার রেটিং দিয়ে সাজানো হয়েছে। “রেটিং ৫”-এর অর্থ হচ্ছে গানটি সর্বোচ্চ কোয়ালিটির এবং “রেটিং ১”-এর অর্থ হচ্ছে গানটি তুলনামূলকভাবে দূর্বল কোয়ালিটি সম্পন্ন। সুতরাং গানের রেটিং বিবেচনা করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গান নির্বাচনে উপস্থাপকের স্বাধীনতা ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমে আমরা রেখেছি। ডেটাবেইজ থেকে গান নির্বাচন সম্পন্ন হলে ড্রপ-ডাউন লিস্টের পাশে রক্ষিত “বন্ধ কর” বাটনে প্রেস করলেই ব্যবহারকারী পুনরায় ফিরে পাবেন ডেটাবেইজ-এর হোম পেজ অপসন।
আগেই বলেছি, হোম পেজে মোট ছয়টি অপসন রয়েছে। তৃতীয় অপসনটি হলো “খোঁজ শিল্পীর নাম”। এই অপসনে ক্লিক করলে, সিস্টেমে রক্ষিত সকল শিল্পীর নামসহ একটি ড্রপ-ডাউন লিস্ট যুক্ত পেজ ওপেন হবে। আগের মতেই উপস্থাপক ড্রপ-ডাউন লিস্ট থেকে শিল্পীর নামের উপর মাউস পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করা মাত্র নির্দিষ্ট শিল্পীর সকল গানের তালিকা স্ক্রিনে দেখা যাবে। নবীন ব্যবহারকারীর অনুসন্ধানের সুবিধার্থে শিল্পীদের নাম ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমে বর্ণক্রমে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে শিল্পীর নামের আদ্যাক্ষর থেকে সহজেই বুঝা যায় ড্রপ-ডাউন লিস্টে শিল্পীর নামের সম্ভাব্য অবস্থান। এই অপসনটির ফলে, খুব সহজেই একই শিল্পীর গান, একই সুরকারের গান বা এ জাতীয় গানের অনুষ্ঠান প্রচার করা এখন সহজতর হবে।
এবারে হোম পেজের চতুর্থ অপসন “খোঁজ গানের কলি” নিয়ে আলোচনা করব। ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজের, যে কোন গান-এর প্রথম লাইন দিয়ে খুঁজে বের করা সম্ভব এবং এটি ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমের অত্যন্ত আকর্ষনীয় দিক। ধরুন, একজন শ্রোতা আমাদের স্টুডিওতে এসএমএস বা ফেসবুকের মাধ্যমে অনুরোধ জানালো, “আমাকে, যেখানে সীমান্ত তোমার- গানটি শোনাও”। অনুরোধকারী তার অনুরোধে আর কিছু লিখেননি। উপস্থাপককে গানটি খুঁজে বের করে পরবর্তী ৩ মিনিটের মধ্যে প্রচার করতে হবে। আমরা তিন মিনিট বলছি, কারণ আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, সাধারনত একটি গানের প্রচার স্থিতি কম বেশী তিন মিনিট হয়ে থাকে। ফলে ধরে নিচ্ছি, যে গানটি প্রচারমান আছে, সেটি শেষ হতে তিন মিনিট সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে উপস্থাপকের চ্যালেঞ্জ, প্রচারমান গানটি শেষ হবার আগেই তিন মিনিটের মধ্যে “যেখানে সীমান্ত তোমার” গানটি খুঁজে তার সং আইডি নোট করে বুথ অপারেটরকে জানানো। তিন মিনিটের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সফলভাবে গানটি খুঁজে বের করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, হোম পেজে “খোঁজ গানের কলি” অপসনে ক্লিক করা। মাউস পয়েন্টার দিয়ে এই অপসনে ক্লিক করার সাথে সাথে দ্বিতীয় একটি পেজ ওপেন হবে, যেখানে, “গানের শিরোনাম” (টাইটেল) অথবা “গানের প্রথম লাইন” ইনপুট দিয়ে গান খোজাঁর সুযোগ রয়েছে। এবার, স্ক্রিনে প্রথম লাইন ইনপুট অপসনে ইউনিকোডে বাংলায় টাইপ করতে হবে, “যেখানে সীমান্ত তোমার” এবং এরপর ক্লিক করতে হবে “দেখ প্রথম লাইন” বাটন। ব্যাস হয়ে গেল। ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেম আপনাকে দেখাবে “যেখানে সীমান্ত তোমার” বাক্য দিয়ে সংরক্ষিত সকল গান। ধরে নিচ্ছি এই গানটির সং আই ডি ১৯। এ অবস্থায় উপস্থাপকের দায়িত্ব হলো, “সং আই ডি ১৯” নোট করে টক ব্যাক মাইক্রোফোনে বুথ অপারেটরকে জানানো, পরবর্তী প্রচারেয় গান হবে ট্রা.স.কা-ইভ স্টোরের ১৯ নম্বর গান। আমরা হিসেব করে দেখেছি, এ কাজটি করতে গড়ে সর্বোচ্চ ১ মিনিট সময় লাগে।

চিত্র-২: বাংলাদেশ বেতারের উপমহাপরিচালক (অনুষ্ঠান), পরিচালক (অনুষ্ঠান) এবং পরিচালক (ট্রাফিক) সহ স্টুডিওতে ট্রা.স.কা-ইভ কার্যক্রম উদ্বোধন করছেন সাবেক মহাপরিচালক জনাব এ কে এম নেছার উদ্দিন ভূইয়া। সাথে উপবিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা এবং উপস্থাপক/উপস্থাপিকাবৃন্দ।
ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমের প্রায়োগিক সুবিধে হলো, এখানে গানের সকল তথ্য ইংরেজীতে না লিখে বাংলা ইউনিকোডে সংরক্ষিত আছে। ফলে গান খুঁজতে গিয়ে বানান ভুলের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। উদাহরণ দিয়ে বলছি, “যেখানে সীমান্ত তোমার” শব্দগুলো ইংরেজীতে লিখেতে গেলে কেউ লিখবেন “Jekane simanto tomer” অথবা কেউ লিখবেন “Jekhane shimanto tomar”, দুটোই হয়তোবা সঠিক। কিন্তু ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজে ইউনিকোড সিস্টেমে বাংলায় গানটি খুঁজতে গেলে বোধ করি কারোরই “যেখানে সীমান্ত তোমার” টাইপ করতে গিয়ে বানান ভুল হবে না। দ্বিতীয় সুবিধে হলো, ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজের পাশাপাশি ট্রা.স.কা-ইভ স্টোরেও সকল গান বাংলা ইউনিকোড দিয়ে সংরক্ষণ করা আছে। ফলে, সার্চ ইঞ্জিনে গানের আইডি নম্বর দিয়ে সার্চ দেবার সাথে সাথে গানটি স্ক্রিনে চলে আসে, এবং সঠিক গানটি এলো কিনা, গানের ফাইল নেম দেখেই নিশ্চিত হওয়া যায়। তৃতীয়ত, গানের কলি দিয়ে গান খুজেঁ বের করার এই সক্ষমতার ফলে চাইলেই যে কোনও অনুষ্ঠানে কনটেন্টের প্রয়োজনে যেকোন গান আমরা খুজেঁ বের করতে পারি। ধরুন, নবীন প্রযোজক, জসীম চাইছেন ঝংকার অনুষ্ঠান আজকে শুধুমাত্র “স্বপ্ন” এই বিষয়টি নিয়ে গান প্রচার করবেন। অনুষ্ঠানটিকে ইন্টারএ্যাকটিভ করার জন্য ফেসবুক ও এসএমএস-এর মাধ্যমে শোতাদের মতামত আহ্বান করলেন। এ অবস্থায় ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমে “গানের প্রথম লাইন” অপসনে শুধুমাত্র “স্বপ্ন” লিখে সার্চ দিলেই চলে আসবে গানের প্রথম লাইনে “স্বপ্ন” শব্দটি আছে এমন অসংখ্য গান! প্রযোজক জসীম, এক ঘন্টাজুড়ে শুধুমাত্র স্বপ্ন বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করলেন এবং ইন্টারএকটিভ এই অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের অনুরোধের গানও প্রচার করলেন। নিজস্ব ওয়েভসাইটে আগে থেকেই জসীম অনুষ্ঠান উপস্থাপকের ছবিসহ বিস্তারিত ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। ফলে খুব দ্রুত জসীমের এই বিষয়ভিত্তিক অনুষ্ঠানটি সারা দেশে জনপ্রিয় হতে লাগল। অনুষ্ঠান উপস্থাপক নিজ অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা এবং নিজের ছবি সম্বলিত প্রচারণা দেখে ভীষণভাবে আহ্লাদিত। কনটেন্টের প্রয়োজনে যেকোন গান খুজেঁ বের করতে পারার সুবিধার কারণে প্রযোজক এবং উপস্থাপক উভয়েরই জন্যই এখন অনুষ্ঠানের মান আরো উন্নত করা সহজতর হলো। এখানে আমরা নিজস্ব ওয়েভসাইট এবং সোস্যাল মিডিয়ার কথা বলছি, কারণ এগুলো থাকলে অনুষ্ঠানের প্রচারণা, ব্র্যান্ডিং এবং শ্রোতা সম্পর্কিত ধারণা লাভ সহজতর হয়ে যায়।
এবার গানের বিষয় নিয়ে কথা বলব। সৃজনশীল পেশায় সংশ্লিষ্ট সকলে সবসময়েই চান বৃত্ত ভেঙে নতুন কিছু করতে, নতুন ভাবে করতে। আলোচনার সুবিধার জন্যে, ধরে নিচ্ছি, আজ ১৯ জুন, বাবা দিবস। সুতরাং একজন ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার স্বভাবগত কারণে চাইবেন, “বাবা”-এই বিষয়টি নিয়ে এমন কিছু করতে, যেন শ্রোতার কাছে, দিনটি অনুভূতিময় হয়ে উঠে। এই দিকটির প্রতি গুরত্ব দিয়ে, সৃজনশীল উপস্থাপনার ঢং-কে আরো সৃজনশীল করবার উদ্দেশ্যে আমরা ট্রা.স.কা-ইভ ডাটা বেইজের হোম পেজে যুক্ত করেছি পঞ্চম অপসন “খোঁজ গানের বিষয়” । একটি গানের বিষয় হতে পারে “বর্ষা”, একই সাথে হতে পারে “প্রেম” আবার হতে পারে “বাবার প্রতি ভালবাসা”। সুতরাং বাবা দিবসে, “বাবা” বিষয়ে গান প্রচার করতে সহায়তা করবে এই অপসন। হোম পেজে “খোঁজ গানের বিষয়” বাটনে ক্লিক করলে একটি ড্রপ-ডাউন লিস্ট সম্বলিত পেজ ওপেন হবে। লিস্টে মোট ২২ টি বিষয় আমরা অর্ন্তভূক্ত করেছি। “আধ্যাত্মিক, জন্মদিন, জাগরণ, জীবনমূখী, দেশ, পূজা, প্রকৃতি, প্রেম, বর্ষা, বসন্ত, বাবা, বিকাল, বিজয়, বিরহ, বৈশাখ, ভাষা, ভোর, মা, রাত, শরৎ, সন্ধ্যা, হামদ-নাত” -এই সবগুলো বিষয়ের গান ট্রা.স.কা-ইভের “খোঁজ গানের বিষয়” থেকে প্রাপ্ত ড্রপ-ডাউন লিস্টে ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংরক্ষিত সকল গানের বিস্তারিত তালিকা দেখা যাবে। আশা করছি, ভবিষ্যতে নবীন প্রযোজকদের সহায়তায় এই লিস্ট আরো অনেক বড় হবে।
সবশেষ, যাদের জন্য আমাদের এই আয়োজন, সেই শ্রোতার বয়সের দিকটি এবং তার পছন্দের দিকটিও আমাদের স্মরণে রাখা প্রয়োজন। সর্বশেষ, জনসংখ্যা জরীপ অনুযায়ী, আমাদের দেশের জনগণের বর্তমান মিডিয়ান এইজ কম-বেশী ২৬ বছর। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের জনসংখ্যার এই কর্মক্ষম জনহার এক ঈর্ষার বিষয়। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে বৃহৎ জনগোষ্ঠী তরুন প্রজন্মভূক্ত। এটি বাংলাদেশের সম্ভাবনার এক বিশাল দিক। এই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ শ্রোতাকে বিবেচনায় রেখে এবং আমাদের তরুন প্রজন্মের ভাল লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজে গান খুঁজে বের করার জন্য শেষ অপসনটির নাম দিয়েছি “খোঁজ ব্যান্ডের নাম”। অপসনটিতে ক্লিক করা মাত্র, আগের আলোচনার মতই, ব্যান্ডের নাম সম্বলিত একটি ড্রপ-ডাউন লিস্ট ওপেন হবে। লিস্ট থেকে যে কোন একটি ব্যান্ডের নামের উপর ক্লিক করা মাত্র ঐ ব্যান্ডের সংরক্ষিত সকল গানের তথ্য সম্বলিত তালিকা দেখা যাবে। এবার, আগে যেমনটি বলেছি, উপস্থাপকের কাজ হচ্ছে যে গানটি প্রচার করবেন তার আইডি নম্বরটি নোট করা এবং বুথ অপারেটরকে আইডি নম্বরটি জানিয়ে সম্প্রচারের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা।

চিত্র-৩: ট্রা.স.কা-ইভ স্টোরে প্রতিটি গানের সাথে যুক্ত লোগো। এই স্টোরের যে কোনও গান প্লে করার সাথে সাথে প্লেয়ারে লোগোটি দৃশ্যমান হবে।
ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমে সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার ছিল আমাদের শেষ দিককার চ্যালেঞ্জ। কপিরাইট মুক্ত এবং বিনামূল্যে পাওয়া যায় এমন একটি সার্চিং সফটওয়্যার আমরা ইন্টারনেটে খুঁজছিলাম । অনেক খোঁজার পর অবশেষে, আমাদের মনে হয়েছে, সার্চ এভরিথিং সফটওয়্যারটি আমাদের ইউনিকোড সিস্টেমের জন্য ষোলআনা উপযোগী। এই সফটওয়্যারটির সুবিধে হলো, এখানে সেটিংসে নির্দিষ্ট করে দিলে শুধুমাত্র ট্রা.স.কা-ইভ স্টোরের মধ্যেই সফটওয়্যারটি নির্দিষ্ট গানটিকে খুজবে, ইংরেজিতে ইনপুট দিলেও ইউনিকোড সিস্টেমে বাংলায় আউটপুট দেখাবে এবং আয়তনে এটি খুবই ছোট। সার্চ ইঞ্জিন সমস্যা সমাধানের পর, আমরা ট্রা.স.কা-ইভের ব্র্যান্ডিং-এর প্রতি মনযোগী হই। এজন্য আমরা একটি লোগো ডেভেলপ করেছি এবং ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমের বর্তমান ২০০০ গানের প্রতিটির সাথে এই লোগো সংযুক্ত করেছি। ফলে, ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমের যে কোনও গান প্লে করলে, লোগোটি প্লেয়ারে ভেসে উঠে এবং এর মাধ্যমে, ব্যবহারকারী ট্রা.স.কা-ইভ সিস্টেমটির উপস্থিতি টের পাবেন । গানের সাথে লোগো সংযুক্ত করার জন্য আমার ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে এবং কপিরাইট ঝামেলাহীন এমপিথ্রি ট্যাগ সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করেছি। ইন্টারনেটে আরও বিভিন্ন সফটওয়্যার রয়েছে, তবে এই ট্যাগিং সফটওয়্যারটির সুবিধা হলো এর ইউরিভার্সিলিটি। রেডিওতে যে সব প্লেয়ার আমরা ব্যবহার করি, তার সবকটিতে এটি কাজ করে বিধায়, একেই আমাদের ব্র্যান্ডিং-এর জন্যে উপযোগী হিসেবে বেছে নিয়েছি।
এবার শেষ করবার পালা। ট্রা.স.কা-ইভ ডাটাবেইজের হোম পেজে ব্যবহৃত ছয়টি অপসন একে একে আলোচনা করলাম। মূলত, কর্তব্যরত উপস্থাপক বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং শ্রোতার অনুরোধের ধরণ বিবেচনা করে তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি হোম পেজের কোন অপসনটি ব্যবহার করবেন। ধরে নিচ্ছি, উপস্থাপক গান নির্বাচনের সকল কাজ শেষ করে, গানের আইডি নম্বর নিয়ে প্রস্তুত। এবার গানটি প্রচার করবার পালা। উপস্থাপক টক-ব্যাক মাইক্রোফোনে বুথ অপরেটরকে জানিয়ে দিলেন “জয়নাল ভাই, প্রচারমান গানটির পর ১৯ নম্বর গানটি প্লে করবেন”। এখন, জয়নাল ভাইয়ের (বুথ অপারেটরের) কাজ হলো, বুথের ব্রডকাস্টিং কম্পিউটারে পূর্ব থেকে ইন্সটল করা ট্রা.স.কা-ইভ সার্চ ইঞ্জিন-এর আইকনে ডাবল ক্লিক করে, সার্চ ইঞ্জিন চালু করা। সবকিছু ঠিকমতো হলে, মনিটরে একটি পেজ ওপেন হবে। এবার, বুথ অপারেটর, পেজটির যেখানটিতে কার্সার ব্লিঙ্ক করবে, সেখানটিতে উপস্থাপকের দেয়া সং আইডি নম্বরটি বসিয়ে এন্টার বাটনে ক্লিক করবেন । ব্যাস, সার্চ ইঞ্জিনের আইট পুটে, চলে আসবে চাহিত গান। এবার প্রাপ্ত গানটির উপর পুনরায় ডাবল ক্লিক করলেই বাজতে শুরু করবে আমাদের আদরের চাহিত অনুরোধের গান। এভাবে নিমিষেই ট্রা.স.কা-ইভ শুনাবে হাজারো অনুরোধের গান, আমার, আপনার এবং আমাদের শ্রোতাদের।
প্রিয় পাঠক, লেখাটি শুরু করেছিলাম, বিয়ের আসরের গল্প দিয়ে। উদ্দেশ্য একটিই । আবার যদি বিয়ে বাড়ীর আয়োজনে রেডিও প্রসঙ্গ ফিরে আসত! তবে, বিয়ের আসরে রেডিওর ভবিষ্যৎ না জানলেও, এটি বিশ্বাস করি, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ বেতারের শ্রোতা বৃদ্ধিকরণে ট্রা.স.কা-ইভ আমাদের অনেক অনেক সহায়তা দিয়ে যাবে। আজকে, আমরা শুধু অনুরোধের গান নিয়ে ভাবছি। আগামীকাল ট্রা.স.কা-ইভ জনস্বার্থে যে কোন তথ্য তিন মিনিট সময়ের মধ্যে শ্রোতার নিকট উপস্থাপনে কাজ করবে। সারা দেশ থেকে একশত একত্রিশ জন প্রযোজক একই সময়ে এতে ইনপুট দিবেন এবং আউটপুট নেবেন। আগামী দিনে, এই সুন্দর সৃষ্টিকে আরো সমৃদ্ধ করে আরো বড় কলেবরে একে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আমাদের তরুণ কর্মকর্তারা, আমাদের শুভময়রা । সুন্দর এই প্রত্যাশা নিয়ে, আগামীর সুন্দর দিনগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।