প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ ব্রান্ডিং বিষয়ক শ্রোতা সম্মেলন
সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাঃ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করছে। তিনি আরো বলেন, ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে বেতারের অগ্রযাত্রা বেগবান করা যাবে। আমাদের দেশে অনেক প্রচার মাধ্যম হচ্ছে কিন্তু বেতারের অবদান এখনও অনেক উপরে। বেতারের মাধ্যমেই আমাদের আজকের অবস্থান। আমরা যারা সংবেদনশীল আমরা অনুভব করতে, পারি বেতার কিন্তু এখনও অনুপ্রেরণার বিষয়। তিনি আরো বলেন শ্রোতা সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের সবৃদ্ধি আসুক। আমরা আবারও প্রাণ চঞ্চল হই। আমরা প্রাণবন্ত হই। আমাদের মাঝে প্রাণ সঞ্চার হোক। আমরা প্রাণিত হই, শানিত হই।
১৩ মে রোববার সকালে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ ব্রান্ডিং বিষয়ক শ্রোতা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। কেন্দ্রের আঞ্চলক পরিচালক মোঃ ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে ও উপ-আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক এর স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে সুচিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট কেন্দ্রের আঞ্চলক প্রকৌশলী মানোয়ার হোসেন খান, বেতার সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তাক আহমদ। সভাপতির বক্তব্যে আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ ফখরুল আলম বলেন, বেতার ও শ্রোতাদের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরীই সম্মেলনের লক্ষ্য। তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি উদ্যোগ ব্রান্ডিং করার জন্যই এ অনুষ্ঠান। ১০ টি উদ্যোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব চিন্তা প্রসুত। দেশের উন্নয়নে ও মানুষের কল্যাণের জন্য তার নেতৃত্বে আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর চেতনা যে দেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকবেনা । তাই যে কোন মুল্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সে উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতেই হবে। তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক দেওয়ান আহসান হাবিব, সিলেট কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী পরিচালক মোঃ জোনায়েদ হোসেন। পুরো অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ জাকিরুল ইসলাম ও প্রদীপ চন্দ্র দাস। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কারী মোঃ ইসহাক, গীতা পাঠ করেন শ্রীমৎ বন্ধু নিত্যানন্দ ব্রম্যচারী। বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন শ্রোতা ক্লাবের প্রতিনিধিগন। আলোচনা পর্ব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সৈয়দ সাইমুম আঞ্জুম ইভান ও সায়মা সুলতানা।