“সুপ্রভাত ঢাকা” পুস্তকের প্রকাশ
ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম, বাংলাদেশ বেতার গত এক বছর ধরে “সুপ্রভাত ঢাকা” প্রভাতি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান শিরোনামে নব্বই মিনিট স্থিতির একটি সজীব ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান প্রচার করছে। শনিবার ব্যতীত সপ্তাহের ছয় দিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৯.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি নিয়মিত প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর কেন্দ্রিক বিভিন্ন বার্তাসহ তাৎক্ষণিক স্পট রিপোর্ট, দিবসভিত্তিক সমাজ আলোকিত করা মনীষীদের জন্ম তারিখ, নির্বাচিত অনুস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কথামালা ও আলোচনা, মহানগরীর ট্রাফিক সংশ্লিষ্ট বিশেষ প্রতিবেদন, প্রতি ঘন্টার সর্বশেষ সংবাদসহ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বার্তা, দেশের ঐতিহ্যবাহী কোনও স্থান নিয়ে আলোচনা, নির্দিষ্ট নির্বাচিত বিষয়ে গুণীজনদের বাণী, মহানগরীর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সম্পর্কিত বার্তা, আন্ত:নগর ট্রেনের সময়সূচি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে খেলাধুলার সংবাদ এবং প্রাসঙ্গিক জনপ্রিয় গান প্রচার করা হয়।
“সুপ্রভাত ঢাকা: অনুষ্ঠান নির্মাণ সহায়িকা” পুস্তকের কন্টেন্ট ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্ক ক্লিক করতে পারেন।

অবতরণিকা ও অধ্যায়-১: প্রবন্ধসমূহ (পৃষ্ঠা ১ – ৭১ পর্যন্ত)
অধ্যায়-২ : শুভ জন্মদিন (পৃষ্ঠা ৭২ – ২০৯ পর্যন্ত)
অধ্যায়-৩ : আজকের ব্যক্তিত্ব (পৃষ্ঠা ২১০ – ৩৪৯ পর্যন্ত)
অধ্যায়- ৩ : আজকের ব্যক্তিত্ব (পৃষ্ঠা ৩৫০ – ৪৯৮ পর্যন্ত)
পৃথিবীর বিখ্যাত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্তৃক প্রচারিত প্রভাতি বেতার ম্যাগাজিন-এর অনুকরণে “সুপ্রভাত ঢাকা: প্রভাতি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান”-এর ধরণ নির্ধারণে অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা টিম প্রথম থেকেই সচেষ্ট থেকেছে। তবে, সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে অনুষ্ঠানটিকে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়করণে অনুষ্ঠানের নিজস্ব প্রচারণা বা ব্র্যান্ডিং বিষয়ে বিবিসি’র মতো ট্রাফিক টিম বিশাল কলেবরে কার্যক্রম আশানুরূপ সচেষ্ট থেকেও শতভাগ সফলতা হতে পারেনি। এই প্রসংগে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের একটি বক্তব্য ট্রাফিক টিম সব সময় অনুসরণের চেষ্ঠা করেছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেছেন, “যদি বড় কিছু করার সুযোগ না পাই, তবে ছোট কাজই সবচেয়ে ভালো করে করব।” ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম, বাংলাদেশ বেতারের আধিকারিকবৃন্দ ছোট পরিসরে হলেও “সুপ্রভাত ঢাকা” অনুষ্ঠানটিকে ভালভাবে করার চেষ্ঠা করেছে, এমনটি আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।সীমিত জনবল স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও এই আয়োজনটি শ্রোতাদের নিকট সহজে পৌঁছে দিতে Facebook Live Streaming ও Digital & New Media ব্যবহার হচ্ছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। পূর্ববর্তী পরিচালকবৃন্দ অনুষ্ঠানটির জনপ্রিয়তার জন্য যেভাবে অক্লান্ত চেষ্টা করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামী দিনগুলোতে আমাদের তরুণ ও মেধাবী কর্মকর্তারা অবশ্যই সম্পদের সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে উঠে “সুপ্রভাত ঢাকা: প্রভাতি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান”-টিকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বেতার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন এই প্রত্যাশা করি।

মূলত, সুপ্রভাত ঢাকা প্রভাতি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে বছরব্যাপী যে তথ্য-উপাত্ত প্রচারিত হয়েছে, সেগুলোকেই সংরক্ষণ এবং পরবর্তীতে আরো পরিমার্জিতরূপে উপস্থাপন ও প্রচার পরিকল্পনার আরো উন্নতকরণে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমকে সহজ করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে “সুপ্রভাত ঢাকা: অনুষ্ঠান নির্মাণ সহায়িকা” শিরোনামে একটি পুস্তক প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রমের সকল কর্মকর্তা, স্টাফ আর্টিস্ট, পান্ডুলিপি লেখক ও কর্মচারীসহ আরো অনেকেই সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ঠ থেকেছে। আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
এই পুস্তকে যে সব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হয়েছে এগুলি কোনটিই মৌলিক গ্রন্থনা নয় বরং বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সংকলিত আকারে অধ্যায়ভিত্তিক একটি প্রকাশনা মাত্র। বাংলাদেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান প্রযোজনায় বৈপ্লবিক কোনও পরিবর্তন আনয়ন করা এই বইয়ের উদ্দেশ্য নয়। তবে, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নির্মাণের বিষয়টিকে উন্নয়নের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস এখানে রয়েছে। মনীষী জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির বক্তব্যের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে চাই, আমরা কন্ঠকে নয়, শব্দকে ধরে তোলার চেষ্ঠা করেছি। কারণ, ফুল বেড়ে উঠার জন্য ঝড় নয় বৃষ্টির বড় প্রয়োজন। বেতার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নির্মাণ ভুবণে এই উদ্যোগটি কয়েক ফোঁটা বৃষ্টির কণা মাত্র। কতটুকু হয়েছে, সময়ই তা নির্ধারণ করবে। আমরা শুধু বলব, আমাদের চেষ্ঠার বিন্দুমাত্র ত্রুটি ছিল না।
“সুপ্রভাত ঢাকা: অনুষ্ঠান নির্মাণ সহায়িকা” প্রামাণ্য দলিল প্রকাশ করতে গিয়ে আমরা প্রতি মুহুর্তে অসংখ্য তথ্যের মুখোমুখি হয়েছি। সুতরাং, বইটিতে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল থেকে যেতে পারে। তবে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলব বইটিতে শত শত চমৎকার তথ্য ও বার্তা রয়েছে, যা বেতার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমরা সতত চেষ্ঠা করেছি তথ্যের নির্ভুলতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিশ্চিত রাখতে। তবে, এরপরও যদি তথ্যের ভুল থেকেই যায়, সেটি নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত। এই ভুলগুলো সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতেই দেখবেন এমনটিই আশা রাখছি। আগামীতে যদি সুযোগ হয়, অবশ্যই ভুলগুলো শুদ্ধতায় রূপ নিবে।
বেতার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য এই বইটিই শেষ কথা নয়, বরং আমাদের অনুষ্ঠানের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে বহুবিধ ধারাবাহিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং প্রাপ্ত সম্পদের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমেই কেবল গতিশীল ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান উপস্থপন সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি। “সুপ্রভাত ঢাকা: অনুষ্ঠান নির্মাণ সহায়িকা” পুস্তকটি সেই গতিশীল ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান উপস্থাপনার সূচনা মাত্র।
সবশেষে বলব, জনস্বার্থে প্রকাশিত এই পুস্তকটির প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অজস্র ধন্যবাদ।
-মির শাহ আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক, “সুপ্রভাত ঢাকা: অনুষ্ঠান নির্মাণ সহায়িকা” পুস্তক এবং পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব), ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম, বাংলাদেশ বেতার। ৬ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭।