চোখের দেখা প্রাণের কথা: শতাব্দী ওয়াদুদ
চোখের দেখা প্রাণের কথা । প্রচার তারিখ: ২১ অক্টোবর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ । প্রচার সময়: সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট।
“চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে উপস্থিত থাকেন আপন আলোয় উদ্ভাসিত একজন ব্যক্তিত্ব। যিনি শুনিয়ে থাকেন তার জীবন অভিজ্ঞতার গল্প। অনুষ্ঠানের অতিথির পছন্দের সাতটি গান প্রচারিত হয়। “চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের আজকের পর্বের অতিথি নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ।

শতাব্দী ওয়াদুদের শৈশব কাটে ঢাকা মহানগরীর কলাবাগান এলাকায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। অস্টম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় মঞ্চ নাটক দিয়ে শতাব্দীর অভিনয় জীবনের শুরু। গুণী এই অভিনেতা ২০১১ খ্রিস্টাব্দে গেরিলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। নিজের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আত্ম মূল্যায়ন করে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আরও অনেক কিছু করতে হবে। সৃষ্টিশীল কাজের সাথে আরো গভীরভাবে জড়াতে চাই। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম শতাব্দী ওয়াদুদকে অভিনয় শিল্পী হিসেবে অনুসরণ করে”।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে শতাব্দী ওয়াদুদ বলেন, তিনি চাক্ষুস বেশ কিছু সড়ক দুর্ঘটনা দেখেছেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, একবার সাত মসজিদ রোডে আবাহনী মাঠের সামনে দিয়ে হাটার সময় দেখেন ৬/৭টি মোটর সাইকেল বাইক রেসিং করছিল। তখন টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। এরই মাঝে প্রচন্ড জোড়ে হর্ণ বাজিয়ে একটি বাইক আসছিল পিছনে একজন সঙ্গীসহ। বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় অসম্ভব দ্রুত গতির বাইকটি হঠ্যাৎ স্লিপ করে প্রায় ৩০০ ফিট পিছলে তার সামনে এসে পৌঁছায়। সাথে সাথে পিছনের তিন/ চারটি দ্রুত গতির বাইকও গতি হারিয়ে স্লিপ করে। কয়েক জনের শরীরের চামড়া ছিলে হার-গোঁড় বেড় হয়ে গেছে। কেউ হয়তো মারা যাবে না, তবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনার এই স্মৃতি মনে পড়লে এখনও তার অস্বস্তি লাগে এবং শরীর কাঁটা দিয়ে উঠে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যার যায় সেই বুঝে কি গেল। জীবন একটাই। একটু সতর্ক থাকলে, সড়ক পারাপারের সময় সাবধান থাকলে জীবন নিরাপদ হয়”। সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য তার মতে “সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই। ট্রাফিক সংশ্লিষ্ট সকলেসহ এলাকার জনপ্রতিনিধিদেরও এই বিষয়ে সচেতন হবার প্রয়োজন রয়েছে”।
অনুষ্ঠানের বিস্তারিত শুনতে ক্লিক করুন নীচের প্লে বাটনটি:
Podcast: Play in new window | Download