চোখের দেখা প্রাণের কথা: মেহরিন মাহমুদ ভূইয়া
চোখের দেখা প্রাণের কথা । প্রচার তারিখ: ৪ নভেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, প্রচার সময়: সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট।
“চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে উপস্থিত থাকেন আপন আলোয় উদ্ভাসিত একজন ব্যক্তিত্ব। যিনি শুনিয়ে থাকেন তার জীবন অভিজ্ঞতার গল্প। অনুষ্ঠানের অতিথির পছন্দের সাতটি গান প্রচারিত হয়। “চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের এই পর্বের অতিথি সঙ্গীত শিল্পী মেহরিন।

সঙ্গীত শিল্পী মেহরিন, যার পুরো নাম মেহরিন ভূইয়া মাহমুদ। একজন সফল ও জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী। পেছনের দিনগুলো যার কাছে স্বপ্নের মত মনে হয়। সঙ্গীতকে এতটাই পছন্দ করতেন যে, গড়ে তোলেন নিজস্ব ব্যান্ড দল। এভাবে গাইতে গাইতে কখন যে দুই দশকের বেশী পথ পাড়ি দিয়েছেন বুঝতেই পারেননি। তার শিল্পী জীবন গানের মতোই বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে, যার বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন অগনিত ভক্ত শ্রোতার ভালবাসা। যে ভালবাসা তাকে সিক্ত করেছে দুই দশক ধরে। সঙ্গীত শিল্পী মেহরিন নিজের জীবনের কর্ম ও অর্জন সম্পর্কে আত্ম মূল্যায়ন করে বলেন: “শ্রোতাদের এই ভালবাসার যেন প্রকৃত যোগ্য হয়ে উঠতে পারি।”
সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে, মেহরিন বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনা যাদের দায়িত্ব, তারাতো সেটি যথার্থভাবে পালন করছেনই। আমার বলার বিষয হলো, যারা ড্রাইভিং সিটে বসছেন, তাদের শিক্ষা, উপলব্ধি এবং যোগ্যতা আসলেই আছে কিনা? এবং ব্যাক সীটে যারা বসছেন, বড় সাহেবরা তাদের সম্পর্কে। ব্যাক সিট ড্রাইবিং ভীষণ ডেঞ্জারাস একটা জিনিস। “এই জোড়ে চালাও….. এই এখানে ব্রেক দিলে না কেন! …..এই লাগিয়ে দিলেতো!”-এগুলো করলে হয় কি, যিনি ড্রাইভিং করছেন উনি কিন্তু বিচলিত হয়ে পড়েন এবং দুর্ঘটনা করার মত পরিস্থিতির শিকার হন। তো আমি মনে করি, সবাই যদি যার যার ভূমিকা সুন্দরভাবে পালন করেন, এবং যারা নিয়ম নীতি নির্ধারণের জায়গায় থাকেন, তারা যদি বলিষ্ঠ হন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন, তাহলে আমার ধারণা সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে ।
মেহরিন নিজের জীবনে সড়ক দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, একবার আমি আমার দেশের বাড়ীতে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় বৃষ্টি হচ্ছে। একটি বাস অনন্যা সুপার আমার গাড়ীকে ওভার টেক করতে গিয়ে, যেহেতু ওর গাড়ীতে বেশী প্যাসেঞ্জার ছিল না, আমার গাড়ীর উপরে এসে পড়ল। আমার ড্রাইভার খুবই স্কিলড ছিল। দক্ষতার সাথে গাড়ী দ্রুত বাঁয়ে চাপিয়ে খাঁদে ফেলতে ফেলতে রক্ষা। এরই মধ্যে গাড়ীর ডানদিকের সাউড মিরর ভেঙ্গে জানালার গ্লাসের ভিতর দিয়ে এসে কাচেঁর টুকরো আমার মাথায় লাগে। সঙ্গে সঙ্গে ব্লিডিং হয়। এরপর মাথায় স্টিচসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে পার হই। এটি আসলেই সারা জীবনের কান্না। আমি একবার সাজেস্ট করে ছিলাম যে হাইওয়েতে গাড়ীতে স্পিডোমিটার কেন দিয়ে দেয়া হয় না?
অনুষ্ঠানের বিস্তারিত শুনতে ক্লিক করুন নীচের প্লে বাটনটি:
Podcast: Play in new window | Download