চোখের দেখা প্রাণের কথা: আফসানা মিমি
চোখের দেখা প্রাণের কথা: আফসানা মিমি পর্ব।
প্রচার তারিখ: ৯ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, প্রচার সময়: সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট।
“চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে উপস্থিত থাকেন আপন আলোয় উদ্ভাসিত একজন ব্যক্তিত্ব। যিনি শুনিয়ে থাকেন তার জীবন অভিজ্ঞতার গল্প। অনুষ্ঠানে অতিথির পছন্দের সাতটি গান প্রচারিত হয়। “চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের এই পর্বের অতিথি অভিনয় শিল্পী আফসানা মিমি।

আফসানা মিমি। পুরো নাম আফসানা করিম মিমি। অভিনয় এবং পরিচালনা উভয় অঙ্গনেই রেখেছেন দক্ষতার ছোঁয়া। হাসি, খুশি, গল্প, আড্ডা সব মিলিয়ে প্রাণবন্ত মানুষ তিনি। শোবিজে পথ চলার প্রায় পয়ত্রিশ বছর অতিক্রম করেছেন তিনি। পথ চলতে চলতে বহু বাধাঁ-বিপত্তি এলেও আফসানা মিমি থেমে যাননি। নিয়মিত অভিনয় করলেও এখন নেপথ্যের কাজে আগ্রহ বেশী তার। অভিনয় শিল্পী মিমি নিজের জীবনের কর্ম ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আত্মমূল্যায়ন করে বলেন: “আমি মেধাবী নই , তবে পরিশ্রমী”।
আফসানা মিমি পড়তে ভালবাসেন। তার নিজস্ব লাইব্রেরী আছে। ছোট বেলার বইগুলো পড়তে খুব ভাল লাগে। তিনি এখনো জসীম উদ্দিনের “বাঙালীর হাসির গল্প” পড়তে ভালবাসেন। তারা শঙ্করের কবি উপন্যাসটি তার খুব পছন্দ। বিশেষ করে উপন্যাসটির “ঠাকুর ঝি“ চরিত্রটি আফসানা মিমি-কে ভীষণভাবে আলোড়িত করে। দুই খন্ডে রচিত জসীম উদ্দিনের “বাঙালীর হাসির গল্প” বইটি পড়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ বেতারের শ্রোতাদের অনুরোধ করেছেন। তার মতে, “বই মানুষের বন্ধু। সুতরাং কিছু কিছু বইকে যদি আমরা বন্ধু বানিয়ে নিতে পারি, তবে জীবনটা চমৎকার কাটবে”।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রসেঙ্গে আফসানা মিমি বলেন, “এখন মনে হয় আমরা ধরেই নিই যে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাবই”। এ প্রসঙ্গে তিনি শ্রদ্ধেয় আলমগীর কবিরের নাম স্মরণ করেন, যিনি ফেরিঘাটে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি স্মরণ করেন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী মিশুক মনির এবং তারেক মাসুদের কথা। তিনি বলেন, এমনিতেই আমাদের দেশে মেধার অনেক সঙ্কট আছে। সড়ক দুর্ঘটনা যখন আমাদের মেধা নিয়ে নিচ্ছে, আমরা কিন্তু তখন পঙ্গু হয়ে যাচ্ছি। সড়ক দুর্ঘটনায় কত কত মানুষের প্রাণ যায়! কখনো শিক্ষক, কখনো ইঞ্জিনীয়ার, কখনো ছাত্র! এই প্রাণগুলো কতটা মেধাবী ছিল আমরা কিন্তু জানতে পারি না। কত কত মানুষের কত কত অমিত সম্ভাবনা যে আমরা হারাচ্ছি, আমরা কিন্তু জানি না।
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে আফসানা মিমি বলেন, সরকারের নীতির বাইরে কেউ ড্রাইভার নির্বাচন করতে পারবে না। ড্রাইভাদের নিয়মিত ওরিয়েন্টেশন এবং মেডিকেল চেকআপ করা প্রয়োজন। ড্রাইভাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বুঝাতে হবে কিভাবে গাড়ী চালাতে হবে। কিভাবে আপনি ড্রাইভার হবেন? কিভাবে আপনি পরিবহন প্রতিষ্ঠানের মালিক হবেন? –এই দুটি জায়গায় যদি কাজ করা যায়, তবে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে।
প্রিয় শ্রোতা, “চোখের দেখা প্রাণের কথা: আফসানা মিমি” পর্বটি শুনতে নীচের প্লে বাটনে ক্লিক করুন।।
-জনস্বার্থে, ট্রাফিক এফএম ৮৮.৮ মেগাহার্জ, বাংলাদেশ বেতার।
/#ChokherDekhaPranerKotha | #TrafficFM | #BangladeshBetar
Podcast: Play in new window | Download