চোখের দেখা প্রাণের কথা: নাজনীন হাসান চুমকী
প্রচার তারিখ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, প্রচার সময়: সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট।

“চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে উপস্থিত থাকেন আপন আলোয় উদ্ভাসিত একজন ব্যক্তিত্ব। যিনি শুনিয়ে থাকেন তার জীবন অভিজ্ঞতার গল্প। অনুষ্ঠানে অতিথির পছন্দের সাতটি গান প্রচারিত হয়। “চোখের দেখা প্রাণের কথা” অনুষ্ঠানের আজকের পর্বের অতিথি নাট্য ব্যক্তিত্ব নাজনীন হাসান চুমকী।
নাজনীন হাসান চুমকী, তার প্রথম পরিচয় অভিনয় শিল্পী। মাঝে মধ্যে নাটক লিখেন এবং নির্মাণের কাজটিও করেন। সব অঙ্গনেই তিনি রেখেছেন দক্ষতার ছোঁয়া। হাসি খুশি গল্প আড্ডা সব মিলিয়ে প্রাণবন্ত মানুষ তিনি। শোবিজে পথ চলার প্রায় বিশ বছর পাড় করেছেন। পথ চলতে বাধাঁ বিঘ্ন এলেও চুমকি দমে যাননি। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বেঁছে বেঁছে কাজ করেন। অভিনেত্রী নাজনীন হাসান চুমকি নিজের জীবনের কর্ম ও অর্জন সম্পর্কে আত্মমূল্যায়ন করে বলেন, “আমার কজের মূল্যায়ন পেয়েছি। সেটি টিকিয়ে যেন রাখতে পারি।”
নাজনীন হাসান চুমকী বই পড়তে পছন্দ করেন।তিনি প্রতিদিন রাতে অন্তত একপাতা হলেও বই পড়ে ঘুমাতে যান। ইতোমধ্যে ছোট গল্পের একটি বইও লিখেছেন। বর্তমানে তিনি মিলান কুন্দেরা রচিত একটি বই পড়ছেন। বাংলায় অনুবাদকৃত বইটির শিরোনাম অমরত্ব। অনুবাদ করেছেন তপব্রত দাশ। তিনি শ্রোতাদের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনীমূলক বই পড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। কারন, তিনি মনে করেন, মানুষের জীবন সম্পর্কে জানার অর্থ হলো নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলা। নিজের জীবনের শত বাধাঁ বিপত্তি সত্বেও মনীষীরা নিজেদের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যান। সেটি জানার মাধ্যমে ব্যক্তির জীবনে একটি গতির সঞ্চার হয়। তাই তিনি শ্রোতাদের বলেছেন, “জীবনে যখনই পিছিয়ে পড়ার ভয় থাকে, তখনই কারো না কারো জীবনী পড়বেন”।
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের লোকাল বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা তার আছে। তিনি মনে করেন, সড়কের ড্রাইভিং সিস্টেমটার উন্নয়ন প্রয়োজন। লেন অনুসরণ করে চলতে হবে। অযথা স্পিড বাড়িয়ে আরেকটি বাসের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবার কোনও অর্থ নেই। যেদিন বাংলাদেশের রাস্তায় এটি কন্ট্রোল করা যাবে, সেদিন আমার মনে হয় যে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে”। নিজের দেখা একটি সড়ক দুর্ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, সেদিন রিহার্সেল থেকে তিনি উত্তরায় ফিরছিলেন। ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। বনানী থেকে উত্তরার দিকে রাস্তাটা ফাঁকা হয়ে গেল। সে সময় দেখলাম যে, আমার গাড়ীর পাশ দিয়ে একটি মোটর সাইকেলে হোয়াইট কালারের ফতুয়া ও ব্লু জিন্স পড়া এক ভদ্রলোক এবং চালক ইয়োলো কালারের টিশার্ট পড়া অবস্থায় ভীষণ স্পীডে চলে গেল। এমনভাবে গেল, দেখে হঠ্যাৎ বুকের মধ্যে একটি কামড় দিল। চারদিকে ঝুম ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। একজনের মাথায় হেলমেট আছে আরেকজনের মাথায় হেলমেট নেই। এক মুহুর্তের দেখা, কিন্তু তারপরও আমার বুকের মধ্যে কেন যেন কামড় দিল। এরপর ঠিক যখন আমি এয়ারপোর্টের কাছে, তখন দেখি রাস্তার মাঝখানে জ্যাম। বাইকটা পড়ে আছে। সাদা ফতোয়া পড়া ভদ্রলোক রক্তে লাল হয়ে গেছে। রাস্তার মাঝখানে পড়ে আছে। হলুদ রঙ্গের টিশার্ট পড়া যিনি, তার মাথায় হেলমেট ছিল। তাকে কোন রকমে ধরে রাস্তার ফুটপাতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমার না ভীষণ কান্না পেয়েছিল। কেন মানুষ এত তাড়াহুড়ো করে? কিন্তু ভুলটা ওনাদেরই ছিল!
প্রিয় শ্রোতা, “চোখের দেখা প্রাণের কথা: নাজনীন হাসান চুমকী” পর্বটি শুনতে নীচের প্লে বাটনে ক্লিক করুন।
Podcast: Play in new window | Download