রমজান উপলক্ষে কোরআন হাদীসের বাণী (সংকলণ-২০১৮ খ্রিঃ)
কোরআনের বাণী:
- মানুষের উচিত তার খাদ্যবস্তুর দিকে লক্ষ্য করা । এক অত্যাশ্চর্য পদ্ধতিতে আমি পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর অভিনব পদ্ধতিতে আমি জমিনকে বিদীর্ন করে তা থেকে নানা ধরনের শস্য , শাকসব্জি , জইতুন, ঘন বৃক্ষরাজি পূর্ণ বাগ–বাগিচা , ফলমূল ও তৃণরাজি উৎপাদন করেছি । আর এসব হল তোমাদের ও তোমাদের গৃহপালিত পশুপাখির জন্য বিশেষ উপকারি। -সুরা আবাসা / আয়াতঃ ২৩-৩২।
- নিঃসন্দেহে, অপব্যয়িরা শয়তানের বান্ধব। বস্তুত শয়তান স্বীয় প্রভুর নিকট বড়ই অকৃতজ্ঞ । -সুরা বনি ইসরাইল /আয়াত -২৭ ।
- আহার কর, পান কর। কিন্তু অমিতচার কর না । আল্লাহ্ অমিতচারিকে ভালোবাসেন না । -সুরা আরাফ / আয়াত -৩১ ।
- হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল । এ থেকে আশা করা যায় , তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলি সৃষ্টি হয়ে যাবে । -সুরা বাকারা / আয়াত – ১৮৩।
হাদীসের বাণী:
- হযরত আবু হুরাইরাহ ( রাঃ) বলেন ,“আল্লাহ্র রসুল (সাঃ) বলেছেন , যখন রমজান মাস আগমন করে , তখন আসমানের দরজাসমুহ খোলা হয় , জাহান্নামের দরজাসমুহ বন্ধ করা হয় এবং শয়তানগুলো শৃংখলাবদ্ধ হয় ”। -আল বুখারি / ১৮০০।
- রমযান মাসের সিয়াম – দশ মাসের সমতুল্য এবং শাওয়ালের ছয় দিনের সিয়াম -দুই মাসের সমতুল্য । এ যেন সারা বছরের সিয়াম । -মুসনাদ আহমাদ / ২১৭৮ ।
- কিয়ামতের দিনে সাওম ও কুরআন, বান্দার জন্য সুপারিশ করবে । -মুসনাদ আহমাদ / ৬৩৩৭।
- যে মিথ্যা কথা ও কাজ এবং মুর্খতা পরিত্যাগ করতে পারল না , তার পানাহার বর্জনে আল্লাহ্র কোন প্রয়োজন নেই । -সহিহ বুখারি / ১৭৭০।
- সাওম ঢাল স্বরুপ। তোমাদের কেউ যেন সাওম পালনের দিনে অশ্লিল আচরণ ও শোরগোল না করে । যদি তাকে কেউ গালি দেয় বা তার সাথে ঝগড়া করে তখন সে যেন বলে “আমি রোযাদার” । –সহিহ বুখারি/ ১৭৭১ ।
- তোমরা সাহরি খাও , কারণ সাহরিতে বরকত রয়েছে । –সহিহ বুখারি / ১৭৮৯।
- মানুষ যতদিন পর্যন্ত তাড়াতাড়ি ইফতার করবে, ততদিন কল্যাণের সাথে থাকবে। -সহিহ বুখারি / ২৮২১ ।
- পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে – যে ব্যক্তি রোযাদারকে ইফতার করাবে সে রোযাদারের সমান সওয়াব পাবে এবং রোযাদারের সওয়াবও কোন ক্ষেত্রে কম হবে না । -তিরমিযি/১৭১ ও ৮০৭ ।
- তিন ব্যাক্তির দোয়া কবুল হয়: ন্যায় পরায়ন নেতা , রোযাদার যখন ইফতার করে, নির্যাতিত ব্যাক্তি । -সুনান তিরমিযি/ ২৪৪৯।
- যখন তোমাদের কেহ ইফতার করে , সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে, কেননা উহাতে বরকত রয়েছে । যদি খেজুর না পায় তবে যেন পানি দ্বারা ইফতার করে, কেননা উহা হল পবিত্রকারী ।
- হাদিস শরিফে বর্নিত আছে – আল্লাহ্র নিকট অধিকতর প্রিয় তারাই, যারা শীঘ্র শীঘ্র ইফতার করে ।
- রমজানের প্রথম দশক হলো রহমতের, মধ্য দশক হলো মাগফিরাতের, এবং শেষ দশক হলো নাজাতের।
- যে ব্যাক্তি রমযানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র প্রতি পূর্ণ ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে রোযা পালন করবে ও রাত্রি জেগে ইবাদত করবে সে হয়ে যাবে ভুমিষ্ট শিশুর মতই নিষ্পাপ ।
- হাদিস শরিফে বর্নিত আছে –আল্লাহ্ পাক বলেন – রোযা আমারই জন্য , তাই রোযার প্রতিদান আমিই দেব ।
সংগ্রহ ও উপস্থাপন: কামরুন্নাহার হেলেন।
চুক্তিবদ্ধ এককালীন শিল্পী
ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম
বাংলাদেশ বেতার।